ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম

মাহাবুবুর রহমান ::বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে গণটিকার কার্যক্রম। কক্সবাজার পৌর এলাকার সব কটি ওয়ার্ডে সকাল থেকে চলছে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম। এতে সাধারণ মানুষেরও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বেশ। আজ ৭ আগষ্ট সকালে কক্সবাজার পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্র আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন টিকা নিয়েছেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষজন টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন। টিকাকেন্দ্র গিয়ে দেখা গেছে নিবন্ধন করানো, আইডি কার্ড সাথে থাকলেই তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলারের প্রত্যায়ণ না পাওয়ার কারনে কয়েকজনকে টিকা না নিয়ে ফেরত আসতেও দেখা গেছে। তবে ঘরের কাছে টিকা দিতে পেরে খুবই খুশি স্থানীয়রা।

এ সময় বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজ কমিটির সভাপতি আমির হোসেন বলেন, আমি নিজেও আজকে টিকা নিয়েছি, খুব ভাল লেগেছে একই সাথে পরিবারের সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য বলেছি। আমার মতে সরকারের এই উদ্দ্যোগ খুবই ভাল হয়েছে। এতে মানুষ বিড়ম্বনা ছাড়া টিকা নিতে পারবে।

ফাতেমা খাতুন নামের এক বয়স্ক মহিলা বলেন, আমার বয়স ৭৫ ছেলেরা হাসপাতালের নিয়ে গেলে উল্টো অসুস্থ হয়ে যাব চিন্তা করে এতদিন টিকা নেয়নি। এখন ঘরের কাছে পেয়ে টিকা নিলাম। আমি মনে করে এভাবে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা দিলে কোন মানুষ টিকার বাইরে থাকবে না।

কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দিদারুল ইসলাম রুবেল বলেন,করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার শুরু থেকে ভাল উদ্দ্যোগ নিয়ে আসছে যার ফলে এখনো আমরা অনেকটা নিরাপদে আছি। এখন ওয়ার্ড বা গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়াটা আমার মতে একটি ঐতিহাসিক উদ্দ্যোগ। এর ফলে মানুষ খুব সহজে নিরাপদে টিকা নিতে পারছে। এর আগে টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক আবদুল খালেক।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান, বৃহত্তর টেকপাড়া সমাজ কমিটির সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ রফিক, সদস্য মহিউদ্দিন, ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফুল করিম প্রমুখ। এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ড গণটিকার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন পৌর প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির।

পাঠকের মতামত: